একটি নতুন প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গবেষকরা বলেছেন যে ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে ক্যান্সারের হার বেশি। ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মানুষদেরকে ইয়াং এডাল্ট বলা হয়। এই বয়সী মানুষেরা তাদের কর্মজীবন এবং পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তবে বর্তমানে তারা ক্যান্সার নিয়ে উদ্বিগ্ন কারণ তাদের বয়সী অনেকেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। কর্মব্যস্ত জীবনের কারণে, অনেক তরুণ প্রাপ্তবয়স্করা ম্যামোগ্রাম বা কোলোনোস্কোপির মতো স্ক্রিনিং টেস্টগুলো করানোর ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ দেখান না। তারা বিভিন্ন উপসর্গগুলোকে উপেক্ষা করে যা পরবর্তীতে অ্যাডভান্সড ক্যান্সারের রূপ নিয়ে থাকে। আর্লি অনসেট ক্যান্সার, যেমন-মহিলাদের স্তন ক্যান্সার এবং অ্যাডভান্সড স্টেজের কোলোরেক্টাল ক্যান্সার ইয়াং এডাল্টদের মধ্যে খুবই দেখা যাচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। এই দুটি ক্যান্সারের কারণ এখনও অস্পষ্ট। যদিও গবেষকরা স্তন ক্যান্সারের জন্য 'জিন মিউটেশন' এবং কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের জন্য 'জীবনধারা ও পরিবেশগত পরিবর্তন' কে দায়ী বলে মনে করেন। পরিবারে পূর্বে কারো ক্যান্সার হয়ে থাকলে তা এই বয়সী মানুষদের জন্য অন্যতম প্রধান ঝুঁকির কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে ল্যানসেট পাবলিক হেলথে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, ইয়াং এডাল্টদের মধ্যে স্তন, অগ্ন্যাশয়, কোলন, মলদ্বার এবং পাকস্থলীর ক্যান্সারের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার ইয়াং এডাল্টদের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম প্রধান ক্যান্সার।
জেএএমএ নেটওয়ার্ক ওপেনের আরেকটি গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে ৫০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সার বাড়ছে। তাদের গবেষণা অনুসারে, ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী লোকদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সার বিশেষত কোলন, মলদ্বার, পাকস্থলী এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বেশি এবং এগুলি ইয়াং এডাল্টদের মধ্যে দ্রুততম ক্রমবর্ধমান ক্যান্সার। আর্লি অনসেট ক্যান্সারের ফলে কিছু চ্যালেঞ্জেস চলে আসে, যেমন সন্তান ধারণের ক্ষমতার উপর প্রভাব, ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি এবং ক্যান্সার চিকিত্সার উপর প্রভাব।
একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা বাধ্যতামূলক কিন্তু এটি কোনও সুরক্ষা কবচ নয়। আমাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।