আপনি কি কখনো একজন ক্যান্সার রোগীর মানসিক স্বস্তি বা আরামের কথা ভেবে দেখেছেন? প্রত্যেক ক্যান্সার রোগীর পথচলাটা ভিন্ন, তাই কীভাবে তাদের মানসিক স্বস্তি বা আরাম নিশ্চিত করা যায় তা খুঁজে বের করাটা জরুরী। আজকে এই বিষয়টি নিয়ে কিছু ভাবা যাক যাতে করে প্রত্যেক ক্যান্সার রোগীর কিছুটা হলেও যেন উপকারে আসে এবং তারা মানসিক প্রশান্তি ও সুস্থতার পথ খুঁজে পায়। ক্যান্সারের এই কঠিন সময়গুলোতে মানসিক স্বস্তি খুঁজে পাওয়ার বেশকিছু উপায় রয়েছে। চলুন চমৎকার কিছু পন্থা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক!
ধর্মচর্চা: অনেক রোগীই ধর্মচর্চা করে স্বস্তি বোধ করে থাকেন কারণ এতে করে তাদের মনের উদ্বেগ প্রশমিত হয় এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অনুভূতি অনুভূত হয়।
মেডিটেশন: মনোসংযোগের অভ্যাস করার ফলে দুশ্চিন্তা হ্রাস পায় এবং শরীর ও মনে এক ধরনের ভালো লাগার অনুভূতি হয়।
গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া: গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার ফলে আপনার হৃদকম্পন কমে আসবে এবং স্ট্রেস হরমোনও অপেক্ষাকৃত কম নিঃসরণ হবে।
গোসল করুন: কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে পেশীতে আরাম বোধ হয় এবং কিছুটা মানসিক প্রশান্তিও অনুভূত হয়। আরো প্রশান্তিদায়ক অভিজ্ঞতার জন্য আপনি গোসলের পানিতে কিছুটা বাবল (বুদবুদ জাতীয়) বা অ্যারোমাথেরাপী লবণ যোগ করতে পারেন।
ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন: ইতিবাচক চিন্তাভাবন করুন এবং ভালো কিছুই হবে এমনটা ভাবতে চেষ্টা করুন।
পড়ুন: জাগতিক সব চিন্তাভাবনা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে কিছুক্ষণের জন্য বইয়ের জগতে ডুবে যান। ক্ল্যাসিক বা যে ঘরানার বই আপনার ভালো লাগে সেগুলো পড়তে পারেন।
ডায়েরি লেখা: আপনার মনের ভাবনা ও কথাগুলো একটা ডায়েরিতে লিখুন। এতে করে আপনার মন হালকা হবে এবং এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি অনুভব করবেন।
বিচ্ছিন্ন করুন: কিছুক্ষণের জন্য হলেও ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করুন এবং জীবনের প্রশান্তিদায়ক মুহূর্তগুলো উপভোগ করুন।
গান শুনুন: গান সবসময়ই মনকে শীতল করে তোলে এবং ক্যান্সারের এই কঠিন সময়গুলোতে মানসিক প্রশান্তির জন্য গান অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে।
হাসুন: দুশ্চিন্তা থেকে প্রশান্তি লাভের জন্য হাসির কোনো বিকল্প নেই।
শখ খুঁজে বের করুন: শখের কাজ যেমন সেলাই বা ছবি আঁকতে পারেন এতে করে মনে ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হবে।
নিজেকে ব্যস্ত রাখুন: যে কাজগুলো আপনার ভালো লাগে, সেসব কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
ব্যায়াম/যোগব্যায়াম: ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম করার ফলে শরীর সচল থাকে এবং এর ফলে দুশ্চিন্তা হ্রাস পায় ও চিকিৎসা চলাকালীন শরীরের সঠিক ওজন বজায় থাকে। তবে এইসময় যেকোনো ব্যায়াম শুরুর আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।
অন্যের সহায়তায় এগিয়ে আসুন: আপনার মতো অন্য রোগীদের পাশে দাঁড়ান, দেখবেন যে মনে এক ধরনের ইতিবাচক সুখানুভূতি হচ্ছে।
চিকিৎসকদের উপর ভরসা রাখুন: আপনার চিকিৎসক ও সেবা দানকারীদের উপর ভরসা রাখুন, চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রত্যেকটি বিষয়ে খেয়াল রাখার জন্য তারা আপনার পাশে রয়েছেন।