রেডিয়েশন অনকোলজিস্টরা সবসময় চিকিৎসার ফলাফলকে অধিক ফলপ্রসূ করার জন্য রেডিয়েশন থেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোকে কমানোর চেষ্টা করেন। ক্যান্সারের পরিস্থিতি প্রতিটি রোগীর জন্য আলাদা আলাদা হয় এবং রোগীভেদে শরীরের উপর চিকিৎসার প্রভাবও ভিন্ন হয়।
রেডিয়েশন থেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোগীভেদে ভিন্ন ভিন্ন এবং কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন-
- ক্যান্সারের ধরন
- শরীরের কোন অংশে ক্যান্সার হয়েছে
- রেডিয়েশনের মাত্রা
- শারীরিক অবস্থা
কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থায়ী হতে পারে কারণ সুস্থ কোষগুলি পুনরায় সক্রিয় হওয়ার জন্য সময় নেয়, আবার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিকিত্সা সম্পন্ন হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই দূর হয়ে যায়।
চিকিৎসার শেষে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এগুলি সাধারণত স্বল্পমেয়াদী, খুব প্রকটা হয় না এবং চিকিত্সাযোগ্য। আবার, চিকিৎসা শেষ হওয়ার কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পরেও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার ঝুঁকি থাকে।
রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়ার ফলে কিছু রোগী উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করে যা তাদের স্বাভাবিক শারীরিক কার্যকলাপকে ব্যাপকভাবে সীমিত করে ফেলে। স্বাভাবিক জীবনে পুনরায় ফিরে আসার জন্য তাদের বিশ্রাম এবং আরও বেশি সময় প্রয়োজন। আবার, কিছু রোগীর ক্ষেত্রে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না, তারা আগের মতোই স্বাভাবিকভাবে সব কাজ করতে পারে।
এখানে, রেডিয়েশন থেরাপির ফলে সৃষ্ট কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া উল্লেখ করা হল-
ক্লান্তি
ক্লান্তি হল রেডিয়েশন থেরাপির একটি খুব সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এটি দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তির মতো নয়। ক্যান্সার রোগীরা ক্লান্ত বোধ করতে শুরু করে। চিকিৎসা যতো এগোতে থাকে এই পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে।
খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা
যদি আপনার বুক, মাথা, ঘাড় বা অন্ননালীতে রেডিয়েশন দেওয়া হয়, তাহলে ব্যথার সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে খাবার গিলতে অসুবিধা হতে পারে।
ত্বকের সমস্যা
শরীরের যে অংশে রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া হয় তা লালচে হয়ে যায়, জ্বালাপোড়া করে, ফুলে যায়, ফোসকা পড়ে, পুড়ে যায়, কালচে হয়ে যায়, শুষ্ক হয়ে পড়ে, এবং চুলকানি হয়।
ক্ষুধামন্দা
রেডিয়েশন থেরাপির সময় বা পরে অসুস্থতা এবং ক্লান্তির কারণে ক্যান্সার রোগীদের ক্ষুধা হ্রাস পেতে পারে।
চুল পড়া
শরীরের যে অংশে রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া হয় সেখানকার চুল পড়ে যায় বা পাতলা হয়ে যায়।
অসুস্থতা
রেডিয়েশন থেরাপি, যদি পাকস্থলী বা মস্তিষ্কের অংশে দেওয়া হয়, তবে চিকিত্সার সময় বা পরে রোগী অসুস্থ বোধ করতে পারে।