নন-মেলানোমা স্কিন ক্যান্সার

বহুল সংক্রমিত একটি ক্যান্সারের নাম হচ্ছে নন-মেলানোমা স্কিন ক্যান্সার যার প্রভাবে আমেরিকায় প্রতি বছর প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়। প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ নন-মেলানোমা স্কিন ক্যান্সার সূর্যরশ্মি থেকে নির্গত আলট্রাভায়োলেট (ইউভি) রশ্মির সংস্পর্শের সাথে সম্বন্ধযুক্ত। ৪ ধরনের ত্বকের ক্যান্সারসমূহ হচ্ছেঃ ব্যাসাল সেল কারসিনোমা, স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা, মার্কেল সেল ক্যান্সার এবং মেলানোমা। ত্বকের ক্যান্সারের মধ্যে সবথেকে বেশী হয়ে থাকে ব্যাসাল সেল কারসিনোমা (বিসিসি) এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা (এসসিসি)। 

পরিসংখ্যান
প্রতিবছর ব্যাসাল সেল কারসিনোমা ও স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫৪ লক্ষ। নন-মেলানোমা স্কিন ক্যান্সারের প্রায় ৮০ শতাংশ হচ্ছে ব্যাসাল সেল কারসিনোমা। প্রতি বছর ব্যাসাল সেল ও স্কোয়ামাস সেল স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২,০০০ জন মারা যায়। 

ঝুঁকির কারণ এবং লক্ষণসমূহ

  • সূর্যালোকের আল্ট্রাভায়োলেট রেডিয়েশনের সংস্পর্শ আসা
  • রোদে ত্বক পুড়ে যাওয়া
  • ধবল ত্বক
  • জাত বা সম্প্রদায় (কৃষ্ণাঙ্গদের তুলনায় শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে অধিক)
  • বয়স (৬৫ বছরের অধিক)
  • দূর্বল বা অবদমিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
  • মার্কেল সেল পলিওমাভাইরাস
  • হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস
  • ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে ত্বকের অবস্থা (খসখসে, লাল বা ত্বকে বাদামী রং এর আঁশটে ক্ষত যাকে অ্যাকটিনিক কেরাটোসিস বা বোয়েন’স ডিজিস বলে)
    লিঙ্গ (পুরুষ)
  • অতীতে রোদে ত্বক পুড়ে গেলে বা ভঙ্গুর ত্বক
  • অতীতে ত্বকের ক্যান্সার হয়ে থাকলে
  • বংশগত উপসর্গসমূহ (গোর্লিন সিনড্রোম, রোম্বো, ব্যাজেক্স-ডুপ্রে-ক্রিস্টল এবং এপিডার্মোলাইসিস বুলোসা সিমপ্লেক্স সিনড্রোম, জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম, অ্যালবিনিজম, এপিডার্মিওলাইসিস বুলোসা সিমপ্লেক্স)
  • আর্সেনিকের সংস্পর্শে আসা
  • পথ্য

লক্ষণসমূহের মধ্যে রয়েছে উন্মুক্ত ক্ষত যা থেকে রক্তপাত, কষ বের হয় বা শক্ত আবরণ তৈরি হয়ে থাকে, লাল স্ফিত অংশ বা আক্রান্ত জায়গা যাতে শক্ত আবরণ তৈরি হতে পারে বা চুলকাতে পারে কিন্তু ব্যথা হওয়ার ঘটনা খুবই বিরল, উজ্জ্বল গোলাপী, লাল, মুক্তোর ন্যায় সাদা বা স্বচ্ছ স্ফীতি, স্ফীত কিনারাসহ গোলাপী ক্ষতের উপস্থিতি এবং কেন্দ্রে শক্ত আবরণ, সুস্পষ্ট কিনারা ছাড়া সাদা, হলুদ বা মোমের ন্যায় ক্ষত প্রায়শ দেখা যায়, আঁচিল সদৃশ্য কিছু একটার উপস্থিতি, লাল খসখসে আঁশটে অংশ যার নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা নেই এবং যা হতে সহজেই রক্তপাত হতে পারে, স্ফীত অংশ যার উপরিভাগ খসখসে এবং মাঝখানে বসে গেছে। 

প্রতিকার

  • বাহিরে প্রমোদের উদ্দেশ্যে রোদ পোহানো এড়িয়ে চলা
  • বাড়ির মধ্যে রোদ পোহানোর ব্যবস্থা করা
  • সূর্যরশ্মি থেকে বাঁচার জন্য তৈরি পোশাক ব্যবহার করা
  • ব্রড স্পেকট্রাম সান্সক্রিণ ব্যবহার করা

চিকিৎসা
চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে টার্গেটেড থেরাপি, কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি, রেডিওথেরাপি। 


Fighting Cancer Desk
ফাইটিং ক্যান্সার ডেস্ক