প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ২১ :০২

জাতীয় ক্যান্সার সার্ভাইভারস দিবস ২০২২ পালিত

প্রতিবছর জুনের প্রথম রবিবার, ক্যান্সার রোগীদের সফল চিকিৎসা ও তাদের পরবর্তী জীবনযাপন উদযাপনের লক্ষ্যে ক্যান্সার সার্ভাইভারস দিবস পালন করা হয়। যারা এরকম ভয়াবহ একটি রোগের সংকটময় সময় পেরিয়ে গেছেন এবং এখনো সেরে উঠছেন, যে সমস্ত ব্যক্তি সবেমাত্র ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন, যারা তাদের কাছের মানুষ ও রোগীদের সেবাদানকারী এবং সমর্থক, এরকম প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা ও অবদানকে উদযাপন করার জন্য এ দিবস পালন করা হয়। এটি সর্বপ্রথম ১৯৮৮ সালের ৫ জুন পালন করা হয়েছিলো এবং এ বছর ৫ জুন, ৩৫তম জাতীয় ক্যান্সার সার্ভাইভারস দিবস বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। এ ফাউন্ডেশনটি ক্যান্সার সার্ভাইভারস হিসেবে কারা পরিগণিত হবে, সে বিষয়টি সংজ্ঞায়িত করেছে। যে ব্যক্তি সবেমাত্র ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন, যিনি ২০ বছর বা তারও বেশি সময় আগে ক্যান্সার থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন, যিনি বর্তমানে ক্যান্সারের সক্রিয় চিকিৎসায় রয়েছেন, যিনি বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক কিন্তু শৈশবে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন; এই সকল পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তি ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়া অর্থাৎ সার্ভাইভারস হিসেবে বিবেচিত হবেন।

দিনটিকে "জীবনের উদযাপন" হিসেবে চিহ্নিত ও পালন করা হয়; যেখানে ক্যান্সারের পরের জীবনযাপন এবং ক্যান্সার থেকে আরোগ্য লাভ করা ব্যক্তি, রোগীর তত্ত্বাবধায়ক ও সেবাদানকারী, চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞ, গবেষক, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ী এবং রোগীদের পরিবারসহ সকলকে তাদের দৃঢ় মনোবল ও ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে এরকম কঠিন সময় মোকাবেলা করার জন্য সাধুবাদ জানানো হয়। যদিও এ দিনটি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়, বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। ক্যান্সারের সাথে যাত্রা আসলে কখনোই সম্পূর্ণভাবে শেষ হয় না; এটি একটি আজীবন প্রক্রিয়ায় পরিণত হয় যেখানে প্রতিনিয়ত কঠিন পরিস্থিতির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়। এই কারণেই উদযাপনের দিনটিতে ক্যান্সারের সাথে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তিকে সার্ভাইভার বলে বিবেচনা করা হয়। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া সকলের জন্য তাদের অভিজ্ঞতা এবং গল্পগুলো ভাগ করে নেয়া, তাদের আত্মবিশ্বাস ও মানসিক শক্তি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এ দিবসটিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন থেরাপি সেশন, ভার্চুয়াল আলোচনা সভা, সকলে মিলে কোনো চলচ্চিত্র বা তথ্যচিত্র দেখা এবং আরো অনেক চিন্তাশীল উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। 

দিনটি আলাদা করে পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো ক্যান্সার থেকে সার্ভাইভারদের জন্য কার্যকর সচেতনতা বাড়িয়ে তাদের জীবনযাত্রার মান বাড়ানো। কতদিন বেঁচে থাকছে - তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো অর্থপূর্ণভাবে আনন্দের সাথে জীবনের বাকি দিনগুলো কাটানো। ক্যান্সারের জন্য লড়াই করা কঠিন এবং পুরো যাত্রাটি ভয়াবহ জটিল। তবুও এটি সবার দায়িত্ব যেন ক্যান্সারের সাথে ক্রমাগত লড়ে যাওয়া সাহসী ও সংগ্ৰামী মানুষেরা নিজেদের কখনো কম গুরুত্বপূর্ণ বা সমাজের জন্য কম যোগ্য না ভাবেন। তাদের শারীরিক ও মানসিক পরিচর্যার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত তাদের অপরিসীম শক্তি ও আশপাশের প্রত্যেকের জন্য তারা কতোটা অনুকরণীয় এবং অনুপ্রেরণাযোগ্য, সেই আশ্বাস দিতে হবে। 


Fighting Cancer Desk
ফাইটিং ক্যান্সার ডেস্ক