আমাদের বাজার করার অভ্যাস নিয়ে কথা বলা যাক। যেকোনো সুপার
শপে বাজার করা শেষে কখনো কি আপনি লক্ষ্য করে দেখেছেন যে কেনা পণ্যের প্রায় অর্ধেকই
আল্ট্রা প্রসেসড ফুড? সাশ্রয়ী মূল্যের, এগুলো দিয়ে সহজেই খাবার বানানো যায় এবং
দীর্ঘমেয়াদী শেলফ লাইফের কারণে খাবারগুলো খুবই জনপ্রিয়।
কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই আল্ট্রা প্রসেসড ফুডগুলো
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাডিটিভস, অতিরিক্ত চিনি, লবণ ও অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট
সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়। আমরা প্রায়শই চিপস, বিস্কুট খেয়ে থাকি যা শরীরের ওজন
বাড়িয়ে দেয় এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যেমন ফলমূল, শাকসবজি ও শস্যদানা খাওয়ার
অভ্যাসকে পরিবর্তন করে ফেলে। একটি স্বাস্থ্যকর আহার মানে শুধু ক্যালরি গ্রহণ নয় বরং
এর পাশাপাশি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল গ্রহণ করাও জরুরী।
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা অনেক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি
বাড়ায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা অতিরিক্ত আল্ট্রা প্রসেসড ফুড গ্রহণ করে
তাদের পরিপাক নালীতে নানা ধরনের ক্যান্সার যেমন এসোফেগাল ক্যান্সার বা মাথা বা
ঘাড়ের ক্যান্সার হয়। শুধু তাই নয়, সামান্য পরিমাণে আল্ট্রা প্রসেসড ফুড গ্রহণ
করলেও বাড়তে পারে এসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।
কিন্তু ভয় পাওয়ার কিছু নেই! আমাদের ছোট ছোট ইতিবাচক
পরিবর্তনগুলো একসময় অনেক বড় পার্থক্য সৃষ্টি করবে। বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও সোডার
পরিবর্তে একটা গ্রিলড চিকেন স্যান্ডউইচ সাথে ফল ও পানি বা লো-ফ্যাট দুধ খেলে কেমন
হয়?
এই সাধারণ পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়ন করলে একটি
স্বাস্থ্যসম্মত জীবনে অভ্যস্ত হতে এবং আল্ট্রা ফুড গ্রহণের ফলে ক্ষতিকারক প্রভাব
থেকেও বাঁচতে সহায়তা করবে। চলুন আজকে থেকেই একটি ভালো অভ্যাস শুরুর প্রতিজ্ঞা করি।