যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম ২০১০ সালে খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টি চাহিদা এবং পাকস্থলীর ক্যান্সারের সম্ভাব্য ঝুঁকিসমূহ সম্পর্কে সকলকে সচেতন করার লক্ষ্যে নভেম্বর মাসটিকে পাকস্থলীর ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে পালন করা হয়। পরবর্তীতে এই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবনবশত ২০১২ সাল থেকে সারা বিশ্ব জুড়ে সকলকে সচেতন করার লক্ষ্যে নভেম্বর মাসটিকে পাকস্থলীর ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
এই মাসে, সচেতনতা তৈরি এবং সকলকে পাকস্থলীর ক্যান্সার বিশেষত এর সম্ভাব্য ঝুঁকিসমূহ, প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ, চিকিৎসা ও প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণের ব্যাপারে জ্ঞান বিতরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন বৈঠক বা সভার আয়োজন করা হয়ে থাকে যেখানে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা বিভিন্ন গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে তাদের ক্যান্সার আক্রান্তের সময়ের অভিজ্ঞতাগুলো সকলের সাথে শেয়ার করে থাকেন।
স্বাস্থ্যবিদদের মতে, যারা ফলমূল ও শাকসবজি কম আহার করে থাকেন, স্মোকি খাবার ও উচ্চ লবণযুক্ত খাদ্যদ্রব্য অধিক গ্রহণ করে থাকেন তাদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৫৫ বয়শোর্ধ্ব ব্যক্তিরা এই ক্যান্সারে অধিক আক্রান্ত হয়ে থাকেন, বিশেষত যাদের বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছরের কোটায় পৌঁছেছে। এছাড়াও, নারীদের তুলনায় পুরুষদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, প্রায় দ্বিগুণ।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুরুর দিকে পাকস্থলীর ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না; ক্যান্সার অ্যাডভান্সড স্টেজে চলে গেলে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে। যে লক্ষণগুলো সাধারণত দেখা যায়-
- পেটে ব্যথা
- খাবার গিলতে অসুবিধা
- পেট ফাঁপা
- বদহজম
- ক্ষুধামন্দা
- অল্প পরিমাণে খাবার খেলেও পেট ভরা অনুভব করা
- বমিবমি ভাব
- বমি
- বুক জ্বালাপোড়া
- কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া
- ক্লান্তি
- কালো রঙের মলত্যাগ
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, ধূমপান পরিহার ও ব্যায়াম করার মাধ্যমে পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।