প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ২১ :০৫

করোনা ভাইরাসের টিকায় ক্যান্সার রোগীর স্বাস্থ্য

বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসের মহামারীতে গোটা পৃথিবী বিপর্যস্ত।এমন সময়ে মৃত্যুঝুকি সহ বিভিন্ন জটিলতা হ্রাসের জন্য প্রয়োজন ভ্যাক্সিনেসন।করোনা ভাইরাস বৈশ্বিক ভাবে ছড়িয়ে পরার পরপরই শুরু হয় টিকা তৈরির চেষ্টা।এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ সফলভাবে টিকা তৈরি করতে পেরেছে যা মানুষের দেহে এন্টিবডী তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রশ্ন দাড়ায়, এসকল টিকা ক্যান্সার রোগীদের জন্য কতটা ঠিক এবং কীভাবে নেওয়া উচিত?

আমরা জানি,ক্যান্সার রোগীরা দ্রুত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।এর জন্য তাদেরকে নিয়মিত চিকিৎসার অধীনে রাখা হয়।এমতাবস্থায় অলাদা ভাবে এন্টিবডি তৈরি করা গেলে তা ক্যান্সার রোগীদের জন্য উপকারী হিসেবে বিবেচিত হবে। সাম্প্রতিক সময়ে টিকা প্রয়োগ,প্রয়োগ পরবর্তী স্বাস্থ্যের অবস্থা ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিতের উপর এর প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন  গবেষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে টিকার সক্ষমতার হার(%) নির্ধারণ করার পাশাপাশি ঝুকি নিরুপন করাও সম্ভব হয়েছে। যেমনঃ কোভিসেল্ড ৬০-৮৬%; মডার্না ৯০-৯৪%; সিনোফার্ম ৭৮-৯০%,ফাইজার ৭০-৯২% (সূত্রঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি’র মতে ক্যান্সার রোগীরা টিকার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে,তবে নির্ধারিত ডোজ সম্পন্ন করতে হবে। (সূত্রঃ  cancer.org)

সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল গবেষকদের করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে,বায়োএনটেক কর্তৃক উদ্ভাবিত ফাইজার ভ্যাক্সিন ক্যান্সার রোগীদের জন্য নিরাপদ। তারা বলেন,"আমাদের জানামতে, সম্ভাব্যভাবে BNT162b2 ভ্যাকসিনের সেরোলজিক স্ট্যাটাস, ইমিউনোজেনসিটি এবং সুরক্ষাকে চিহ্নিত করে কঠিন টিউমারযুক্ত প্যাটিনেটের সাথে যারা সক্রিয় অ্যান্টি-ক্যান্সার থেরাপি গ্রহণ করছেন"।

পাশাপাশি তারা উল্লেখ করেন,এই গবেষণায় গ্রহণকৃত ক্যান্সার রোগীদের তথ্য পর্যাপ্ত নয়।

এই পরিপেক্ষিতে আমেরিকার জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউড এর সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা যায়,ব্লাড ক্যান্সারে আল্রান্ত রোগীদের ভ্যাক্সিন প্রয়োগে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না। (সূত্রঃ cancer.gov) 

করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণের পর ২-৪দিন শরীরে কিছু দূর্বলতা লক্ষ্য করা যায়।ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জন্য এই সময়টি বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ।পাশাপাশি টিকার দুটি ডোজের মধ্যবর্তী সময় সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে।প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণের ৪সপ্তাহ পর ২য় ডোজ গ্রহণ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি হয়।দুই ডোজের মধ্যবর্তী সময়ে এর চেয়ে বেশি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির হার কমতে থাকে। (সূত্রঃ বিবিসি) 

তাই ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের করোনায় মৃত্যু ঝুঁকি হতে বেঁচে থাকতে টিকা গ্রহণ করতে হবে।পাশাপাশি চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলা আবশ্যক। 


Fighting Cancer Desk
ফাইটিং ক্যান্সার ডেস্ক