শিশু, কিশোর ও তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্যান্সার

শিশুদের শরীরের যেকোন অংশে-রক্ত, লিম্ফনোড সিস্টেম, ব্রেইন ও স্পাইনাল কর্ড (সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম;সিএনএস), কিডনি এবং অন্যান্য অঙ্গ ও টিস্যুতে ক্যান্সার হতে পারে। তরুণরা যে ধরণের ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে; লিউকেমিয়া, ব্রেইন ও স্পাইনাল কর্ডের টিউমার, নিউরোব্লাস্টোমা, উইলমস টিউমার, লিম্ফোমা (হজকিং ও নন-হজকিং উভয় ধরনের), র‍্যাবডোমায়োসারকোমা, রেটিনোব্লাস্টোমা এবং হাড়ের ক্যান্সার (এর মধ্যে রয়েছে অস্টিওসারকোমা ও ইউইং সারকোমা)।

পরিসংখ্যান
ধারণা করা হচ্ছে ১৫ বছরের নীচের ১০,৫০০ শিশু এবং ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ৫,0৯০ কিশোর এই বছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে। শিশুদের ক্যান্সারের মধ্যে ২৮% লিউকেমিয়া, ২৭% ব্রেইন ক্যান্সার, ৯% লিম্ফোমা হয়ে থাকে। আর কিশোরদের বেলায় ২১% ব্রেইন ক্যান্সার, ১৯% লিম্ফোমা এবং ১৩% লিউকেমিয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও কিশোরদের ক্যান্সারের মধ্যে রয়েছে ১১% থাইরয়েড ক্যান্সার এবং ৩% মেলানোমা ক্যান্সার। 

ঝুঁকির কারণ এবং লক্ষণসমূহ
শিশুদের ক্যান্সারের চিকিৎসা হিসেবে কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়ার ফলে দ্বিতীয়বার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত হলে নন-হজকিং লিম্ফোমা ও অন্যান্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

লক্ষণসমূহের মধ্যে রয়েছে কোন কারণ ছাড়াই ক্রমাগত ওজন হ্রাস পাওয়া, মাথাব্যথা, মাঝে মাঝে সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর বমি আসা, হাড়, হাড়ের জোড়া, পশ্চাৎদেশ বা পা ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা, বিশেষত তলপেট, গলা, বুক, শ্রোণী বা বগলের নীচে গোটার মত অংশ বা প্রাকক্যান্সার কোষ, ব্যাপক আকারে ক্ষতের সৃষ্টি, রক্তক্ষরণ বা লাল লাল ফুসকুড়ি, দীর্ঘদিনের ইনফেকশন, পিউপিলের পিছনে সাদাটে হয়ে যাওয়া, দীর্ঘ সময় যাবত বমিবমি ভাব বা বমিবমি ভাব ছাড়াই বমি হওয়া, সবসময় ক্লান্ত অনুভব করা বা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, হঠাৎ করেই দৃষ্টিশক্তিতে পরিবর্তন আসা ও দীর্ঘদিন ধরে সেই অবস্থাতেই থাকা এবং অজ্ঞাত কারণে বারবার জ্বর আসা। 

প্রতিকার
জীবনযাপনের ধারা ও পরিবেশ সংক্রান্ত যে ঝুঁকির বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো কমিয়ে ফেললে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে যায়। 

চিকিৎসা
চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে টার্গেটেড থেরাপি, কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি (ক্যান্সার ভ্যাকসিন, মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি এবং ইন্টারফেরনস), রেডিয়েশন থেরাপি এবং বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশন/ স্টেম সেল ট্রান্সপ্লানটেশন।


Fighting Cancer Desk
ফাইটিং ক্যান্সার ডেস্ক