ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় ২% এর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত স্থানগুলো থেকে তা আরো অধিক বিস্তৃত হয়ে যাওয়ার পরে লক্ষণ প্রকট হতে শুরু করে। এই ধরনের ক্যান্সারগুলোকে অজ্ঞাত কারণে হওয়া কারসিনোমা বা অজ্ঞাত কারণে হওয়া ক্যান্সার(সিইউপি) বলে। এই ধরনের ক্যান্সার প্রাথমিকভাবে শরীরের কোথায় শুরু হয় তা চিহ্নিত করা মুশকিল কারণ টিউমারটা হয়ত খুব ছোট ছিল বা কোন কারণবশত তা আকারে ছোট হয়ে গেছে বা কোন সার্জারির সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে তা অপসারিত হয়ে গেছে।
এই ধরনের ক্যান্সারগুলো বিভিন্ন রকম হতে পারে যেমন অ্যাডিনোকারসিনোমা, সহজে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায় না এমন কারসিনোমা, স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা বা নিউরোএন্ডোক্রাইন কারসিনোমা। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির রিপোর্ট অনুযায়ী আনুমানিক ২ থেকে ৫ শতাংশ ক্যান্সার রোগীর মেটাস্ট্যাটিক টিউমার হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন টেস্টের মাধ্যমে শরীরে এই ক্যান্সারের উৎপত্তিস্থল নিশ্চিত করে চিহ্নিত করা যায় না।
পরিসংখ্যান
ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে ২% সিইউপিতে আক্রান্ত যার সংখ্যা প্রায় ৩২,৮৮০ জন (প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং বালক মিলিয়ে ১৬,২৭০ জন এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারী এবং বালিকা মিলিয়ে ১৬,৬১০ জন)।
ঝুঁকির কারণ এবং লক্ষণসমূহ
ঝুঁকির কারণসমূহের মধ্যে রয়েছে-
- বয়স (৬০ বছর)
- তামাক সেবন, এর মধ্যে রয়েছে সিগারেট সেবন, তামাক চিবিয়ে খাওয়া এবং সিগার সেবন
- সূর্যালোকে অতিরিক্ত পরিমাণে থাকা
- বিভিন্ন উৎপাদনকারী কারখানায় ব্যাপক পরিমানে রেডিয়েশন ও কেমিক্যালের সংস্পর্শে আসা
- পুষ্টির অভাব, ব্যায়াম না করা
- পূর্বপুরুষদের কারো স্তন
- ওভারিয়ান বা কোলোরেকটাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড থাকলে
লক্ষণসমূহের মধ্যে রয়েছে শরীরের বিশেষ বিশেষ জায়গা যেমন বুক, পেট বা হাড়ে ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, ওজন হ্রাস, শরীরের যেকোন অংশে গোটার মত হয়ে যাওয়া যেমন লিম্ফনোড, দীর্ঘদিন ধরে কাশি বা কর্কশ আওয়াজ বের হওয়া, নিয়মিত পায়খানা বা প্রস্রাবের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসা, অস্বাভাবিক রক্তপাত বা পুঁজ বের হওয়া এবং দীর্ঘদিন ধরে জ্বর বা রাতে ঘুমের মধ্যে ঘেমে যাওয়া।
প্রতিকার
- বাহিরে প্রমোদের উদ্দেশ্যে রোদ পোহানো এড়িয়ে চলা
- বাড়ির মধ্যে রোদ পোহানোর ব্যবস্থা করা
- সূর্যরশ্মি থেকে বাঁচার জন্য তৈরি পোশাক ব্যবহার করা এবং ব্রড স্পেকট্রাম সান্সক্রিণ ব্যবহার করা
- সূর্যরশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করা
চিকিৎসা
চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে টার্গেটেড থেরাপি, সার্জারি, কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি।