প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২ :৩১

প্রোস্টেট ক্যান্সারের ব্যাপারে আপনি কীভাবে নিশ্চিত হবেন?

প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে আট জন পুরুষের মধ্যে এক জন প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ, কৃষ্ণাঙ্গ বা পরিবারে পূর্বে কারো হয়ে থাকলে সেই সকল পুরুষদের প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

প্রাথমিক পর্যায়ে বেশিরভাগ প্রোস্টেট ক্যান্সারের কোনও লক্ষণ দেখা যায় না; অ্যাডভান্সড পর্যায়ে গেলে কিছু লক্ষণ দেখায় যেমন:

  • ঘন ঘন বা জোরে প্রস্রাবের বেগ, বিশেষ করে রাতে
  • প্রস্রাবের সময় বা শুরু করার সময় সমস্যার সম্মুখীন হওয়া
  • প্রস্রাবের বেগ পেলে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা 
  • প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালা অনুভব করা
  • প্রস্রাবের সময় ঠিকমতো প্রসাব বের না হওয়া 
  • প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়
  • ইরেক্টাইল ডিসফাংশন
  • মলদ্বারে কোনো ধরনের চাপ অনুভব করা
  • প্রস্রাব বা বীর্যের মধ্যে রক্তের উপস্থিতি
  • পিঠের নিচের অংশ এবং শ্রোণীর হাড়ে ব্যথা
  • কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া
  • প্রস্রাবের পর, মূত্রাশয় পুরোপুরি খালি না হওয়ার অনুভূতি

যদি ধারণা করা হয় যে আপনার প্রস্টেট ক্যান্সার হয়েছে, তাহলে আপনার ডাক্তার এই লক্ষণগুলি এবং আপনি কতদিন ধরে এই সমস্যাগুলোতে ভুগছেন সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। তারা কিছু সম্ভাব্য ঝুঁকির কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন, যেমন:

বয়স
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকি বাড়তে থাকে। ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে। এই ক্যান্সারের প্রায় ৬০% সাধারণত ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে পাওয়া যায়। 

বর্ণ
দেখা গেছে যে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গরা বেশি আক্রান্ত হয়। এর পিছনের কারণ এখনও অজানা। আশ্চর্যের বিষয় হল, এই ক্যান্সার সাদা পুরুষদের তুলনায় কালো পুরুষদের মধ্যে বেশি আক্রমণাত্মক এবং মৃত্যুর হারও বেশি।

জীবনধারা
শারীরিক শ্রম এবং ডায়েটেরও প্রস্টেট ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আপনি যদি পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম না করেন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করেন তবে আপনার প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি।

পরিবারে পূর্বে কারো হয়ে থাকলে
বাবা, ভাইবোন বা ছেলের মতো পরিবারের কোনও সদস্য যদি প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন বা হয়েছিলেন, তাহলে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন। এটি বংশানুক্রমিকভাবে চলতে পারে এবং পারিবারিক প্রোস্টেট ক্যান্সার হিসাবে পরিচিত; এটি মোট প্রোস্টেট ক্যান্সারের ২০% এর জন্য দায়ী।

স্থূলতা
স্থূল ব্যক্তিদের প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। এই ক্যান্সার স্থূল ব্যক্তিদের দেহে বেশি আক্রমণাত্মক এবং আরও একটি উদ্বেগজনক বিষয় হল প্রাথমিক চিকিৎসার পরে এটি পুনরায় ফিরে আসতে পারে।

ডায়েট
যাদের ডায়েটে ক্যালসিয়াম বেশি থাকে তাদের এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরে, আপনার চিকিৎসক ডিজিটাল রেকটাল এক্সামিনেশন (ডি. আর. ই,), প্রোস্টেট-স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন (পি. এস. এ) রক্ত পরীক্ষা এবং স্ক্রিনিং টেস্টের মতো কিছু টেস্ট করবেন। 

পরিশেষে, আপনি প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন কি না তা নিশ্চিত করার জন্য একটি বায়োপসি পরীক্ষা করা হয়।

 


Fighting Cancer Desk
ফাইটিং ক্যান্সার ডেস্ক