বাংলাদেশে প্রতি বছর আশংকাজনকভাবে দ্রুত বেড়ে চলেছে
ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা। ফুসফুস, সার্ভিক্যাল ও স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ সবচেয়ে
বেশি এবং দেশের মোট ক্যান্সার আক্রান্তের প্রায় ৩৮% এই তিন ধরনের ক্যান্সারে
আক্রান্ত।
নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে তামাক সেবন অন্যতম একটি
প্রধাণ কারণ। এছাড়াও বেশকিছু ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলো নিয়মিত আহারের ফলে মুখ,
পাকস্থলী, খাদ্যনালী, যকৃৎ ও স্তন ক্যান্সার হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের খুব জনপ্রিয় কিছু খাবারের মধ্যে রয়েছে ভাত,
মাছ, গরুর মাংস ও শুঁটকি মাছ। ক্যান্সারের অন্যতম আরেকটি কারণ হচ্ছে খাদ্যে ভেজাল।
স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা,
নিরক্ষরতা, দারিদ্র্যতা, সচেতনতার অভাব এবং চিকিৎসা সেবার অপর্যাপ্ততার কারণে
বাংলাদেশে ক্যান্সারের হার অনেক বেশি। এ দেশে ক্যান্সার সনাক্তকরণও একটি কঠিন
বিষয়।
নারীদের ক্ষেত্রে স্তন
ক্যান্সারের চেয়েও প্রকট আকার ধারণ করেছে সার্ভিক্যাল ক্যান্সার। স্বল্প আয়ের বা
স্বল্পোন্নত দেশ বিশেষত বাংলাদেশে সার্ভিক্যাল ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেশি
হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে-একের অধিক যৌনসঙ্গী, বয়স, বাল্যবিবাহ, যৌনাঙ্গের
অপরিচ্ছন্নতা এবং বিভিন্ন ধরনের ভাইরাল ইনফেকশন।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্যান্সার প্রতিরোধে সরকারের উচিত এগিয়ে আসা। সরকার
বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই প্রাণঘাতী
ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।