ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড বাংলাদেশের
একটি স্বনামধন্য ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। জেনেরিক ড্রাগ ও ভ্যাকসিন তৈরিতে
ইনসেপ্টা বাংলাদেশের একটি অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠান। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে তারা
একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন যা স্বাস্থ্যখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান
রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
২০২২ সালে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ইনসেপ্টা
ফার্মাসিউটিক্যালস প্যাপিলোভ্যাক্স নামে একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে। এই ভ্যাকসিন
জরায়ুমুখ ক্যান্সারের জন্য দায়ী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) বিরুদ্ধে
কাজ করবে।
একটি প্রি-ফিলড সিরিঞ্জে ইনজেকশনের মাধ্যমে
ব্যবহারের জন্য সাসপেনশন হিসেবে পাওয়া যাবে। এটি ইন্ট্রামাসকুলারলি ইনজেকশনের
মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে।
৯ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারীদেরকে এই ভ্যাকসিন
গ্রহণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই ভ্যাকসিনের মোট তিনটি ডোজ রয়েছে। প্রথম ডোজ
গ্রহণের দুইমাস পরে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে এবং এর ছয় মাস পরে তৃতীয় অর্থাৎ শেষ ডোজ
নিতে হবে।
এই ভ্যাকসিনের বর্তমান বাজারমূল্য ২৫০০ টাকা।
বাংলাদেশের নারীরা যতগুলো ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তার
মধ্যে ১৫-৪৪ বছর নারীদের ক্ষেত্রে এই ক্যান্সার দ্বিতীয় দায়ী কারণ।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের ধারণা অনুযায়ী, জরায়ুমুখ
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০৭০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে প্রায় ৫০৫,৭০৩ জন নারী
মৃত্যুবরণ করবে।
স্ক্রিনিং টেস্ট না করানো, বাল্যবিবাহ, অল্প বয়সে শারীরিক
সম্পর্ক, যৌনরোগ এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার দৈন্যদশার কারণে বাংলাদেশে জরায়ুমুখ
ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি।
আমরা আশা রাখি যে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের এই গুরুত্বপূর্ণ অবদান জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে অনবদ্য ভূমিকা রাখবে এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তথ্যসূত্র: