সারা বিশ্বজুড়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা রমজান পালন করে থাকেন। এটি সিয়াম সাধনা ও ইবাদতের মাস। সবার মতো ক্যান্সার রোগীরাও রোজা রাখার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে।
চিকিৎসা চলাকালীন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা সাধারণত ক্যান্সার রোগীদের রোজা না রাখার জন্য বলে থাকেন কিন্তু যাদের চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে তারা রোজা রাখতে পারবেন। চিকিৎসা চলাকালীন কেমোথেরাপি বা অন্যান্য রেডিয়েশন থেরাপির কারণে ক্যান্সার রোগীদের শরীরে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় যেমন -
• ডায়রিয়া
• কোষ্ঠকাঠিন্য
• অবসাদ
• মুখের স্বাদ চলে যাওয়া
• বমি
• বমিবমি ভাব
রমজানের আগে, যেসব ক্যান্সার রোগী রোজা রাখতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে জেনে নিতে হবে যে তিনি রোজা করতে পারবেন কিনা।
ক্ষুধা, পাচনক্রিয়া ও শরীরের ওজনের উপর ক্যান্সার চিকিৎসার একটি প্রভাব রয়েছে। রোজার সময় একজন ক্যান্সার রোগীর জন্য সঠিক খাদ্য ও খাদ্যাভ্যাস ভীষণ জরুরি।
যে খাবারগুলো খেতে পারবে:
• শাকসবজি
ভিটামিন ও খনিজের একটি ভালো উৎস হচ্ছে শাকসবজি।
ভিটামিন ও ফাইবারের জন্য: টমেটো, গাজর, মিষ্টিকুমড়া, মটরশুঁটি, শালগম।
স্বাস্থ্যকর উদ্ভিজ কেমিক্যাল যা আমাদের শরীরের জন্য সহায়ক: ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি।
ক্যালসিয়াম ও আয়রনের জন্য: সব ধরনের পাতা জাতীয় শাকসবজি।
রক্তের স্যুগারের পরিমাণ কমানোর জন্য: করল্লা।
• কার্বোহাইড্রেট
ভাত, নুডলস, আলু, শিম, দুগ্ধজাতীয় পণ্য ও শস্যদানা থেকে প্রস্তুতকৃত পাউরুটি। দেহে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপকারিতার জন্য মধু খাওয়া যেত পারে।
• প্রোটিন
মাছ, ডিম, পোল্ট্রি, চর্বিহীন মাংস, দুগ্ধজাতীয় পণ্য, বাদাম, চানা ডাল, মাছ ও সয় ফুড।
• স্বাস্থ্যকর ফ্যাট জাতীয় খাবার
অলিভ ওয়েল, আখরোট, অ্যাভোক্যাডো।
• ফলমূল
ভিটামিন সি এর জন্য: যেমন কমলা।
ভিটামিন ও ফাইবারের জন্য: আম, কলা, নাস্পাতি, স্ট্রবেরি ও কিউই।
শক্তির জন্য: পেয়ারা, অ্যাপ্রিকট ও কিসমিস।
যে খাবারগুলো খাওয়া যাবে না:
প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার।
লাল মাংস।
ডুবো তেলে ভাজা খাবার।
চিনি জাতীয় ও কার্বোনেটেড পানীয়
অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ।
প্রতিদিন চা বা কফি পানের অভ্যাসটা কম বেশি আমাদের সকলের মাঝেই রয়েছে। রমজানের সময়, সেহরিতে চা বা কফি পান করা উচিত নয়। কেউ যদি পান করতে চায় তাহলে তিনি ইফতারির পর চা বা কফি পান করতে পারেন। প্রত্যেকের প্রতিদিন কমপক্ষে ১-২ লিটার পানি পান করা উচিত।